মোট পৃষ্ঠাদর্শন

হিন্দু ধর্মে মূর্তিপূজা নিষিদ্ধ

 ইসলাম_ও_হিন্দু__ধর্মের_সাদৃশ্য

কোন ধর্ম সম্পর্কে জানতে হলে ধর্মের অনুসারী নয় ধর্ম গ্রন্থ সম্পর্কে জানতে হয়।অনেক হিন্দুই আছে যারা তাদের ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে অবগত নয়।আসুন আমরা দেখি হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ মূর্তিপূজা সমর্থন করে কি না?
হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ গুলোর সবচেয়ে জনপ্রিয় হল ভগবদগীতা।এ গ্রন্থের ৭ ম
অধ্যায়ের ২০ নং অনুচ্ছেদ -এ বলা হয়েছে: যাদের বিচার-বুদ্ধি কেড়ে নিয়েছে
জাগতিক আকাঙ্খা তারা অপদেবতার উপাসনা করে অর্থাৎ বারা জড়বাদী তারাই শুধু অপদেবতার উপাসনা করে ।'_ এ কথার অর্থ হচ্ছে জড়বাদীরা সত্য প্রভকে ছেড়ে
প্রতিমার উপসনায় নিজেদেরকে ব্যাস্ত রাখে।
বেদ হচ্ছে হিন্দধর্ম গ্রন্থসমূহের মধ্যে পবিত্র গ্রন্থ। জজুরবেদের ৩২ অধ্যায়ের ও ৩ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- না তাস্তি প্রতিমা আস্তি
অর্থাৎ, “ঈশ্বরের কোন প্রতিমূর্তি নেই।' অর্থাৎ তার কোন মূর্তি নেই,ভাস্কর্য নেই,ছবি নেই।
(জজুরবেদ ৩২ : ৩) (দ্রব্য : দেবী চাঁদ এম. এ. কর্তৃক রচিত জজুর বেদ,
পৃষ্ঠা ৩৭৭)
নিরাকার এবং বিশুদ্ধ/পবিত্র ।' দ্রষ্টব্য :রার্লফ আই. এইচ. ঘিফিথ কতুকি রচিত
জজুরবেদ, পৃষ্ঠা ৫৩৮)
জজুরবেদের ৪০. অধ্যায়ের ৯ নং অনুচ্ছেদ বলছে, তারা অন্ধাকারে প্রবেশ করে যারা প্রাকৃতিক বস্তুর উপাসনা করে।(যেমন সূর্য চাঁদ) এখানে আরো (র ্যলফ আই. এইচ গ্রিফিত রচিত জজুরবেদ শ্যামহিতা পৃষ্ঠা ৫৩৮) এখানে আরো উল্লেখ আছে তারা আরও অন্ধকারে প্রবেশ করে যারা কৃত্রিম বস্তুর উপাসনা করে ( যেমন- চেয়ার, টেবিল,মূর্তি)
উপনিষদ হচ্ছে হিন্দুধর্ম গ্রন্থেসমূহের মধ্য অন্যতম পবিত্র ধর্ম!
সেত্রাসুত্র উপনিষদের ৪র্থ অধ্যায়ের ১৯ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- 'স্রষ্টার
মতো আর কেউ নেই"
(রাধাকৃষ্ণের মূল উপনিষদের ৭৩৬, ৭৩৭ নং পৃষ্ঠা এবং প্রাচ্যের
পবিত্র গ্রন্থসমূহ, খন্ড- ১৫, উপনিষদ ২য় অংশের ২৫৩ নং পৃষ্ঠায়) ।
একই উপনিষদের ৪র্থ অধ্যায়ের ২০ লং শ্রোকে বলা হয়েছে_ “স্রষ্টা হলেন
নিরাকার, কেউ তাকে চোখ দিয়ে দেখতে পায় না"
(রাধাকৃষ্ের রচিত হুল উপনিষদ ৭5৭ নং পুষ্ঠা এবং প্রাচ্যের
পবিত্র গ্রন্থসমূহ, খন্ড- ১৫, উপনিষদ ২ লং অংশের ২৫৩ নং পৃষ্ঠা)
এখানে আমরা দেখতে পেলাম হিন্দু ধর্মগ্রন্থ বলছে ঈশ্বরের কোন প্রতিমূর্তি নেই,যারা জড়/কৃত্রিম বস্তুর উপাসনা করে তারা অন্ধকারে প্রবেশ করে।
একইভাবে ইসলাম ধর্মেও মূর্তিপূজা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
হে মু’মিনগণ! নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, মূর্তি ইত্যাদি এবং লটারীর তীর, এ সব গর্হিত বিষয়, শাইতানী কাজ ছাড়া আর কিছুই নয়। সুতরাং এ থেকে সম্পূর্ণ রূপে দূরে থাক, যেন তোমাদের কল্যাণ হয়। - 5:90
সুতরাং তোমরা বর্জন কর মূর্তি পূজার অপবিত্রতা এবং দূরে থাক মিথ্যা বলা হতে,- 22:30
তোমরাতো আল্লাহ ব্যতীত শুধু মূর্তি পূজা করছ এবং মিথ্যা উদ্ভাবন করছ।- 29:17
তাই হিন্দু ধর্মের অনুসারীগণ যদি তাদের ধরমগ্রন্থ মেনে চলে তাহলে তারা মূর্তিপূজা নিষিদ্ধ এ ব্যাপারে হিন্দু মুসলিম সকলে একমত হবে।
বল, ‘হে আহলে কিতাব! এমন এক কথার দিকে আসো, যা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে একই, তা এই যে, আমরা আল্লাহ ভিন্ন অন্য কারো ‘ইবাদাত করব না এবং কোন কিছুকে তাঁর শরীক করব না এবং আল্লাহকে বাদ দিয়ে আমাদের মধ্যে কেউ কাউকে রব হিসেবে গ্রহণ করব না। তারপরও যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে বলে দাও, তোমরা এ বিষয়ে সাক্ষী থাক যে, আমরা আত্মসমর্পণকারী।- সুরা আল ইমরান আয়াত ৬৪।

কোন মন্তব্য নেই

পোস্ট

হিন্দু ধর্মগ্রন্থে গোবধ ও গোমাংস

  হিন্দু ধর্মগ্রন্থে গোবধ ও গোমাংস ভোজনের প্রমাণ || ১|• শ্রাদ্ধে অতিথিদের গোমাংস ভক্ষন করালে পূর্বপুরুষ ১ বছর স্বর্গসুখ পেতে পারে, এই উপদেশ ...

Blogger দ্বারা পরিচালিত.